ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের অর্ধ শতকেরও বেশি সময় পর দেশটির তেল আবিবে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর। গতকাল (মার্চ ২২) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং ইসয়ালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড। ছবি: দ্য ডিল্পোম্যাট। |
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের তিন দিনের ইসরায়েল সফরের শুরুতেই ঘোষণাটি আসে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অনলাইন সংবাদ ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় নতুন দূতাবাসটি একটি ফোকাল পয়েন্ট (কেন্দ্রবিন্দু) হিসেবে কাজ করবে ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য অংশীদারদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সিঙ্গাপুরের কোম্পানিসমূহকে সাহায্য করবে। তবে বিবৃতিতে জানানো হয়নি ঠিক কখন দূতাবাসটি খোলা হবে।
সিঙ্গাপুর কখন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে?
সিঙ্গাপুর ও ইসরায়েল পরস্পরের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ১৯৬৯ সালে। তবে তারও আগে একটি গোপন সামরিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে দেশ দুটি, যা সিঙ্গাপুরের সশস্ত্র বাহিনীকে (এসএএফ) শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তখন থেকে সিঙ্গাপুর ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র গ্রাহকদের অন্যতম হয়ে উঠে। ১৯৯৯ থেকে ২০১৮, এ সময়ের মধ্যে নগররাষ্ট্রটি তেল আবিবের কাছ থেকে ৫৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের অস্ত্র ক্রয় করে।
আরও পড়তে পারেন: ডাচ মুসলিমরা নিয়মিত ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হচ্ছে: গবেষণা
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে সিঙ্গাপুর ভারসাম্য বজায়ে চলার চেষ্টা করে। ইসরায়েল বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের বারংবার বিভিন্ন প্রস্তাবনায় নগররাষ্ট্রটি বিরত থাকলেও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে আনীত একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর সে কারণেই দূতাবাস জেরুজালেমের পরিবর্তে তেল আবিবে খোলা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশসমূহের মত সিঙ্গাপুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে দেয় না। তবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে (পিএ) সাহায্য ও অন্যান্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করে থাকে।